কক্সবাজারের লুকানো সৌন্দর্য - শামলাপুর সমুদ্র সৈকত

লেখকঃ এডমিন, লার্নিং এন্ড ট্রাভেলিং গ্রুপ
তারিখঃ ১২ অক্টোবর, ২০২৪

প্রথমবার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণে সবাই সী বীচের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য কলাতলী, সুগন্ধা বা লাভনী পয়েন্টে যায়। তবে এছাড়াও যে কক্সবাজারে আরও অসংখ্য শান্ত, নির্জন ও লোকালয়মুক্ত সমুদ্র সৈকত আছে, সেটি অনেকেরই অজানা। এর মধ্যে শামলাপুর সমুদ্র সৈকত অন্যতম।

কক্সবাজার থেকে ইনানী পেরিয়ে দক্ষিণে গেলে রাস্তার ডান পাশে বা পশ্চিম দিকে যে সমুদ্র সৈকত দেখা যায়, তা হলো শামলাপুর বা শাপলাপুর সমুদ্র সৈকত। এই সৈকতের অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য এটি ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
ভিডিওঃ শামলাপুর সমুদ্র সৈকত

এই বগ্লে আলোচনা করবো, শাপলাপুর বীচ নিয়ে, যেখানে মিলবে ভ্রমণশূন্য প্রাকৃতিক বীচের পাশাপাশি অসংখ্য সাম্পানের বহর, মাছ ধরার নৌকা এবং ঝাওবন। চলুন শাপলাপুর ভ্রমণের সকল তথ্য জেনে আসি।

শাপলাপুর বীচঃ
এটি মূলত কক্সবাজার উপজেলার শেষ সীমান্ত এবং টেকনাফ উপজেলার একদম কাছে অবস্থিত একটি সমুদ্র সৈকত। যেখানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নানান রকমের সামুদ্রিক মাছের কেনা-বেচা হয় পাইকারি দরে। এই বীচটি একদমই প্রাকৃতিক। কক্সবাজার থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় এখানে পর্যটক আসেনা বললেই চলে। তাই এই বীচটিও তার সৌন্দর্য ধরে রেখেছে তার স্বকীয় আপন মহিমায়। এই বীচে যেতে যেতে আপনাদের চোখে পড়বে মেরিন ড্রাইভ সড়কের অপরূপ স‍ৌন্দর্য্য।

শাপলাপুর বীচের অবস্থানঃ
শামলাপুর সমুদ্র সৈকত টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের পাশে অবস্থিত। এখানে আপনি প্রকৃতির নিরবচ্ছিন্ন সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। পর্যটকদের ভীড় নেই বললেই চলে, শুধুমাত্র মাছ ধরার নৌকা এবং জেলেদের দেখা মিলবে। এই নির্জনতা প্রকৃতির আসল রূপটি উপভোগ করার জন্য আদর্শ স্থান।

বিভিন্ন রঙের নৌকার সাড়ি এবং জেলেদের কর্মব্যস্ততাঃ
শামলাপুর বিচের আরেকটি বিশেষ আকর্ষণ হলো রঙিন নৌকার সাড়ি। এখানে নৌকা তৈরির কাজও হয়। সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে থাকে অসংখ্য সামুদ্রিক নৌকা। জেলেদের নৌকা পানিতে নামানোর দৃশ্য এবং তাদের কর্মব্যস্ততাও অত্যন্ত সুন্দর। এই দৃশ্য সত্যিই মুগ্ধকর।

কিভাবে যাবেন?
শামলাপুর বিচে যাওয়ার জন্য আপনাকে ঢাকা থেকে কক্সবাজার বা টেকনাফে প্রথমেই পেীছাতে হবে অথবা বিমানে সরাসরি কক্সবাজার যেতে পারেন। কক্সবাজার অথবা টেকনাফ থেকে গাড়ি বা সিএনজিতে করে শামলাপুর পৌঁছানো যায়। রিজার্ভ অটো ভাড়া পড়বে ১০০০-১২০০ টাকা, সিএনজির ভাড়া পড়বে ১৫০০ টাকা। তবে পরামর্শ থাকবে সকাল ৭ টার মধ্যে রিজার্ভ অটো নিয়ে বের হয়ে পড়ুন। তাহলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে দেখতে পৌছে যাবেন শাপলাপুর সমুদ্র সৈকত।

পরামর্শঃ
শাপলাপুর যাওয়ার পথে আপনাদের সামনে পড়বে হিমছড়ি বিচ,প্যারাসাইক্লিং পয়েন্ট, ইনানী বিচ, পাটুয়ারটেক বীচ ইত্যাদি। আপনাদের জন্য পরামর্শ হলো এগুলোতে না নেমে সরাসরি চলে যাবেন শাপলাপুর বীচে। অটোতে পৌছাতে সময় লাগবে প্রায় ২ ঘন্টা। কেউ চাইলে সারাদিন শাপলাপুর বীচেই ঘুরে কাটাতে পারে। সমুদ্রের সৌন্দর্যের পাশাপাশি উপভোগ করতে পারে জেলেদের কর্মব্যস্ত জীবন। শাপলাপুর বাজারের পাশেই পাবেন ফ্রেশ হবার জন্য পাবলিক টয়লেট, নামাযের মসজিদ এবং খাবার হোটেল।

শাপলাপুর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরেই শাহপরীর দ্বীপের অবস্থান । কিভাবে একদিনে শাহপরীর দ্বীপ অল্প খরচে  ভ্রমণ করবেন, তা চাইলেই দেখে নিতে পারেন নিচের ভিডিওতে-

________________________________________________________________________________________________________
লেখাটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে পারেন এবং এইরকম গোছানো নতুন নতুন ভ্রমণ অভিজ্ঞতা পেতে চাইলে আমাদের YouTube চ্যানেল- 
Learning and Traveling ক্লিক করে Subscribe করতে পারেন। কোন পরামর্শ থাকলে কমেন্টে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

1 comment:

Theme images by compassandcamera. Powered by Blogger.